গানের মানুষ বাপ্পি লাহিড়ী। ‘ডিস্কো কিং’খ্যাত এই শিল্পীর গোল্ড লাভার হিসেবেও খ্যাতি ছিল। স্বর্ণের প্রতি বাপ্পি লাহিড়ীর অনুরাগের কথা সবার জানা। বাপ্পি লাহিড়ী মানে জমকালো পোশাক, চোখে রোদচশমা ও গলায় গোছা গোছা সোনার হার আর হাতে আংটি।
এসব সোনার গহনার মধ্যে অন্যতম ছিল একটি চেইন। যাতে দেখা যায়, একটি লকেট। আর এই লকেটে ইংরেজি হরফে ‘বি’ বর্ণ লেখা রয়েছে। যাইহোক, এতদিন বাপ্পি লাহিড়ীর এসব গহনা দেখেছেন মানুষ। কিন্তু অনেকেই জানেন না বাপ্পি লাহিড়ীর পরিহিত সোনার গহনার মোট ওজন কত; আর তার বাজার মূল্যই বা কত!
টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে শ্রীরামপুর আসন থেকে বাপ্পি লাহিড়ী লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন হলফনামায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ করেন তিনি। তাতে জানা যায়, তার মোট সোনার পরিমাণ ৭৫৪ গ্রাম। রূপার পরিমাণ প্রায় ৪.৬২ কেজি। বর্তমান বাজারমূল্য অনুসারে, বাপ্পি লাহিড়ীর সোনার মূল্য প্রায় ৩০ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৩ টাকা)। রূপার মূল্য প্রায় ২ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার ৯১৩ টাকা)। প্রতিদিন ৮ থেকে ৯টা সোনার চেইন পরতেন বাপ্পি লাহিড়ী।
শুধু বাপ্পি লাহিড়ীই নন তার স্ত্রীরও রয়েছে সোনার শখ। বাপ্পি লাহিড়ী ২০১৪ সালে যে তথ্য সামনে আনেন তাতে উল্লেখ ছিল চিত্রানী লাহিড়ীর মোট সোনার পরিমাণ ৯৬৭ গ্রাম, রূপার পরিমাণ ৮.৯ কেজি এবং হিরার গহনার মূল্য প্রায় ৪ লাখ রুপি। মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি রুপি।
বাপ্পি লাহিড়ী শুধু ফিল্ম থেকেই আয় করতেন তা নয়, একাধিক রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক ছিলেন তিনি। একাধিক শো করতেন। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বাপ্পির ঘনিষ্ঠজন জানান, প্রতিটি গানের জন্য ৮-১০ লাখ রুপি নিতেন তিনি। এক ঘণ্টার পারফরম্যান্সের জন্য নিতেন ২০-২৫ লাখ রুপি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।